তিতুমীরের পরিচয়
বাংলাার বিপ্লবী নেতা তিতুমীর পরিচয় ও তার আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণী। অনার্স তৃতীয় বর্ষ খ' বিভাগ প্রশ্নের উত্তর।
![]() |
তিতুমীর |
প্রশ্ন: তিতুমীর কে ছিলেন? তার আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও?
উত্তর: ভূমিকা: ব্রিটিশ শাসনের অত্যাচার থেকে উপমহাদেশের সাধারণ মানুষদের রক্ষার আন্দোলনের অন্যতম পথিক ছিলেন তিতুমীর।উপমহাদেশের প্রজাদের উপর বিভিন্ন সময় ইংরেজদের নিদারুণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি দেশের জনগণকে একত্রিত করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেন।
তিতুমীরের পরিচয়: তিতুমীর ১৭৮২ সালের ২৭ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাল্য নাম ছিল সৈয়দ নিসার আলী। বাল্যকালে তিনি অত্যন্ত তেঁতো ঔষধ সহজেই গ্রহন করতে পারতেন বলে তাকে তিতুমীর বলে ডাকা হতো। তিতুমীরের পিতার নাম ছিল সৈয়দ মীর হাসান আলী এবং তার মাতা ছিলেন আবিদা রোকিয়া খাতুন। তার লেখাপড়া শুরু হয় স্থানীয় একটি মাদ্রাসা এবং ১৮ বছর বয়সে তিনি কুরআনের হাফেজ হন। তিনি বাংলা, আরবি ফারসি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। সেই সাথে বাল্যকাল থেকেই তিনি ধর্মের প্রতি খুবই অনুরাগী ছিলে।
তিতুমীরের আন্দোলন: তিতুমীর সাধারণ জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য নানা সময় নানা ধরনের আন্দোলনের ডাকদেন নিচে তার আন্দোলনে সংক্ষিপ্ত বিবরণ উল্লেখ করা হলো।
ওয়াহাবি আন্দোলন: তিতুমীর ১৮২২ সালে হজ করার জন্য মক্কাতে যান এবং ১৮২৭ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি ইসলাম ধর্মের সকল কুসংস্কার দূর করার জন্য ওয়াহাবি আন্দোলনের ডাক দেন। যা প্রথম দিকে ধর্মসংস্কার আন্দোলন নামে পরিচিতি লাভ করে। চব্বিশপরগনা ও নদীয়ার সাধারণ মুসলিম, কৃষক ও তাঁতিরা তার এ আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া দেন এবং এই আন্দোলন পরবর্তীতে কৃষক আন্দোলনের রূপ নেয়।
তিতুমীরের আন্দোলন: তিতুমীর সাধারণ জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য নানা সময় নানা ধরনের আন্দোলনের ডাকদেন নিচে তার আন্দোলনে সংক্ষিপ্ত বিবরণ উল্লেখ করা হলো।
ওয়াহাবি আন্দোলন: তিতুমীর ১৮২২ সালে হজ করার জন্য মক্কাতে যান এবং ১৮২৭ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি ইসলাম ধর্মের সকল কুসংস্কার দূর করার জন্য ওয়াহাবি আন্দোলনের ডাক দেন। যা প্রথম দিকে ধর্মসংস্কার আন্দোলন নামে পরিচিতি লাভ করে। চব্বিশপরগনা ও নদীয়ার সাধারণ মুসলিম, কৃষক ও তাঁতিরা তার এ আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া দেন এবং এই আন্দোলন পরবর্তীতে কৃষক আন্দোলনের রূপ নেয়।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন: দীর্ঘ পাঁচ বছর মক্কায় অবস্থান করার পর দেশে ফিরে তিনি এদেশের কৃষক ও তাঁতি সম্প্রদায়কে ব্রিটিশদের শোষণের বিরুদ্ধে সচেতন করেন। এবং তাদের অধিকার আদায়ের উদ্বুদ্ধ করেন যা পরবর্তীতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়।
বাঁশের কেল্লা: অধিকার বঞ্চিত মানুষদের একত্রিত করতে তিতুমীর বারাসতের নারকেলবাড়িয়াই ঘাটি স্থাপন করেন এবং এখানে তিনি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন। ১৮৩০ সালে ইংরেজ সৈনিকদের বর্বর আক্রমণে বাঁশের কেল্লা ধ্বংস হয় এবং তিনি শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করেন এবং শহীদ হন।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে তিতুমীর ছিলেন ইংরেজদের অত্যাচার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে একজন অজেয় শক্তি। তার শক্তি এবং যোগ্যতা বলে তিনি বহু সংখ্যক মানুষকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু তিনি তার সংগ্রামকে সফল করতে পারেননি।
তিতুমীরের পরিচয়
- জন্ম তারিখ: ১৭৮২ সালের ২৭ জানুয়ারি।
- জন্ম স্থান: পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার চাঁদপুর গ্রাম।
- প্রকৃত নাম: সৈয়দ মীর নিসার আলী।
- ডাকনাম: তিতুমীর।
- পিতার নাম: সৈয়দ মীর হাসান আলী
- মাতার নাম: আবিদা রোকিয়া খাতুন।
- মৃত্যু: ১৯ নভেম্বর ১৮৩১
- বয়স: ৪৯ বছর।