গ' বিভাগ
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস স্বাধীন বাংলাদেশ। অনার্স প্রথম বর্ষ।
আজকের আলোচনা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্বের বৃহৎ শক্তিসমূহের ভূমিকা আলোচনা।
![]() |
স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্বের বৃহৎ শক্তিসমূহের ভূমিকা। |
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্বের বৃহৎ শক্তিসমূহের ভূমিকা আলোচনা কর।
অথবা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূমিকা মূল্যায়ন কর।
অথবা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের বৃহৎ শক্তিসমূহের অবদানগুলো আলোচনা কর।
উত্তর: ভূমিকা: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, তৎকালীন দুই প্রধান পরাশক্তি—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তখন উদীয়মান শক্তি হিসেবে পরিচিত ভারত ও চীনের অবস্থান ছিল স্পষ্টভাবে ভিন্ন। ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন সরাসরি বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। ভারত রাজনৈতিক, সামরিক ও মানবিক সহায়তা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়ায়, আর সোভিয়েত ইউনিয়ন কূটনৈতিকভাবে সমর্থন দেয়। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং বিভিন্নভাবে তাদের সহায়তা করে। ফলে, এই দেশগুলোর ভূমিকাই মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক দিককে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বৃহৎ শক্তিসমূহের ভূমিকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্বরাজনীতির বৃহৎ শক্তিগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এক পক্ষ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ছিল, আর অন্য পক্ষ পাকিস্তানকে সমর্থন করে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। নিচে তাদের ভূমিকা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো—
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল একদিকে বিতর্কিত, অন্যদিকে কিছু ক্ষেত্রে সহানুভূতিশীল। সরকারিভাবে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সমর্থন করলেও, দেশটির জনগণ, গণমাধ্যম, কংগ্রেসের অনেক সদস্য ও কিছু কর্মকর্তা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। বিশেষ করে, সাধারণ মানুষ ও বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। তবে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এবং উইলিয়াম রোজার্সের প্রশাসন পুরো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়জুড়ে পাকিস্তানকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে।
মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মার্কিন নীতির চারটি পর্যায় ছিল—
১। প্রথম পর্যায় (মার্চ-জুলাই ১৯৭১): এই সময় যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগতভাবে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করে এবং বাংলাদেশ সংকটকে পাকিস্তানের "অভ্যন্তরীণ বিষয়" হিসেবে উল্লেখ করে। তবে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেনেথ কিটিং এই দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা করেন এবং বলেন যে, এটি কেবল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক ইস্যু। জনমতের চাপে পড়ে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহ ও আর্থিক সাহায্য স্থগিত করে এবং ভারতে শরণার্থীদের জন্য ৩০ লাখ ডলার সাহায্য দেয়।
২৷ দ্বিতীয় পর্যায় (জুলাই-আগস্ট ১৯৭১):
এই সময় যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের আওতায় থেকে কোনো রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করা, যাতে যুদ্ধ এড়ানো যায়। তবে এটি সফল হয়নি, এবং মার্কিন নীতি ব্যর্থ হয়।
৩। তৃতীয় পর্যায় (সেপ্টেম্বর-৩ ডিসেম্বর ১৯৭১): এ সময় যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি পাকিস্তানপন্থি নীতি গ্রহণ করে। তারা চেয়েছিল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি সমঝোতায় আসা হোক। পাকিস্তানের উপর কিছুটা চাপ দিলেও তাতে কোনো ফল হয়নি।
৪। চতুর্থ পর্যায় (ডিসেম্বর ১৯৭১): ৩ ডিসেম্বর ভারত-পাকিস্তান সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়। তারা ভারতের জন্য ৮৬.৬ মিলিয়ন ডলার সাহায্য সাময়িকভাবে বন্ধ করে এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এমনকি বঙ্গোপসাগরে 'এন্টারপ্রাইজ' নামের পারমাণবিক জাহাজসহ আটটি যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়, যা ‘টাস্কফোর্স ৭৪’ নামে পরিচিত। তবে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরোধিতার কারণে মার্কিন টাস্কফোর্স ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি ফিরে যায়।
যদিও মার্কিন সরকার পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছিল, তবে দেশটির গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ ও সাধারণ জনগণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন জানায়। বিশেষ করে, বিখ্যাত গায়ক জর্জ হ্যারিসনের আয়োজিত ‘বাংলাদেশ কনসার্ট’ মুক্তিযুদ্ধের জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা ছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা: তৎকালীন পরাশক্তিদের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল একমাত্র দেশ, যা মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই বাঙালিদের ওপর গণহত্যার নিন্দা জানায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভারতের পাশে থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তাদের নীতিতে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়, যা তিনটি পর্যায়ে ব্যাখ্যা করা যায়—
১। প্রথম পর্যায় (মার্চ-জুন ১৯৭১): এই সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন কিছুটা সতর্ক অবস্থানে ছিল। ৩০ মার্চ সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে পূর্ব বাংলার জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানানো হয়। ২ এপ্রিল সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট পদগর্নি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে চিঠি লিখে রক্তপাত বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার অনুরোধ করেন। জুন পর্যন্ত সোভিয়েত সরকার মূলত কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে।
২। দ্বিতীয় পর্যায় (জুলাই-নভেম্বর ১৯৭১): ৯ আগস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারত একটি মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিকভাবে দুর্বল করে ফেলে। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মস্কো সফর করলে সোভিয়েত নীতি আরও শক্ত অবস্থান নেয়। এ সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারত মিলে আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রচার চালাতে থাকে।
৩। তৃতীয় পর্যায় (ডিসেম্বর ১৯৭১ - স্বাধীনতা): ৩ ডিসেম্বর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলে সোভিয়েত ইউনিয়ন পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং জানিয়ে দেয় যে, তারা নিষ্ক্রিয় থাকবে না। সোভিয়েত ইউনিয়ন চায়, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের (আওয়ামী লীগ) হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক। যুদ্ধ চলাকালে তারা জাতিসংঘে পাকিস্তানকে রক্ষা করার জন্য আনা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে একাধিকবার ভেটো দেয়, যাতে ভারতীয় বাহিনী সামরিক বিজয়ের জন্য যথেষ্ট সময় পায়।
১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেয় এবং ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের প্রস্তাব গৃহীত হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের এই ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বড় ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চীনের ভূমিকা: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় চীন সরকার পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ করে এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করে। চীনের নীতিকে মূলত দুটি পর্যায়ে বিভক্ত করা যায়—
১। প্রথম পর্যায় (এপ্রিল-নভেম্বর ১৯৭১): ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী যখন বাংলাদেশে গণহত্যা চালায়, তখন চীন সরাসরি এ বিষয়ে কোনো নিন্দা জানায়নি। বরং ১০ এপ্রিল চীন সরকার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে আশ্বস্ত করে যে, তারা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় সব সময় পাশে থাকবে। তারা মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের "অভ্যন্তরীণ বিষয়" হিসেবে অভিহিত করে এবং সামরিক ও নৈতিকভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন দিতে থাকে।
১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে চীন রুশ-ভারত মৈত্রী চুক্তিকে দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দায়ী করে এবং এই চুক্তিকে পাকিস্তানের জন্য হুমকি হিসেবে তুলে ধরে।
২। দ্বিতীয় পর্যায় (৩-১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১): ৩ ডিসেম্বর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলে চীন পাকিস্তানের পক্ষে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। জাতিসংঘে চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং যুদ্ধের জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নকে দায়ী করে। চীন চেয়েছিল, আন্তর্জাতিক কূটনীতির মাধ্যমে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে। তবে এই সময়ে চীনের মূল মনোযোগ ছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে, যার ফলে তারা পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিতে পারেনি।
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর চীন এক বিবৃতিতে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নকে দোষারোপ করে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে "রুশ-ভারতীয় সৃষ্টি" বলে অভিহিত করে। ফলে চীন দীর্ঘদিন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন ভারত তার নিজস্ব জাতীয় স্বার্থে সহযোগিতা করেছে, আবার অনেকেই মনে করেন মানবিক কারণেই ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দিয়েছে। তবে যে কারণেই হোক, ভারতের ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছে। ভারতের ভূমিকা সাধারণত তিনটি পর্যায়ে ব্যাখ্যা করা যায়—
১। প্রথম পর্যায় (এপ্রিল-জুলাই ১৯৭১): এই পর্যায়ে ভারত সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াতে চায়নি। তবে তারা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয় এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক তৎপরতা চালানোর সুযোগ দেয়। এ সময় ভারতে বিপুলসংখ্যক শরণার্থী প্রবেশ করতে থাকে, যার সংখ্যা জুন মাসের মধ্যে ৫০ লাখে পৌঁছে যায়। শরণার্থীদের সহায়তা দেওয়া ছাড়াও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা RAW-এর তত্ত্বাবধানে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়, এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়।
২। দ্বিতীয় পর্যায় (আগস্ট-নভেম্বর ১৯৭১): জুলাই থেকে ভারতীয় বাহিনী গোপনে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আঘাত হানতে শুরু করে। ৯ আগস্ট ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ভারতের অবস্থান আরও দৃঢ় করে। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রাশিয়া সফর করেন এবং সেখানে ভারতকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।
৩। তৃতীয় পর্যায় (৩-১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১): ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতের বিমানঘাঁটিতে হামলা চালালে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। এরপর ভারতীয় সেনাবাহিনী স্থল, নৌ ও বিমান পথে একযোগে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে এবং বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী ঢাকায় প্রবেশ করে। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ভারতীয় জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন।
৪। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বেসরকারি সহযোগিতা: শুধু সরকার নয়, ভারতের সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও বুদ্ধিজীবীরাও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দিয়েছিল। বিভিন্ন সংগঠন শরণার্থীদের জন্য খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। ভারতীয় শিল্পী-সাহিত্যিকরা ‘শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী সমিতি’ গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন ও অর্থ সংগ্রহে ভূমিকা রাখে।
ভারতের এই সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের
স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বিশ্বের বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ভারতের ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে একেবারে একাকার হয়ে আছে। কেননা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য চার হাজার ভারতীয় অফিসার ও জোয়ানের আত্মত্যাগ এবং ভারতীয়দের সহমর্মিতা, ভালোবাসা এগুলো ছিল অকৃত্রিম।
খুব ভালো একটা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কথাবার্তা
উত্তরমুছুনAwssume
উত্তরমুছুনNice post
উত্তরমুছুনnine
উত্তরমুছুনNj
উত্তরমুছুনআসাদারন পোস্ট
উত্তরমুছুনঅনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন
উত্তরমুছুনNice explain
উত্তরমুছুনআমেরিকা ২ মুখি আচারন করছে।
উত্তরমুছুনIt's really helpful article
উত্তরমুছুনঅনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন
উত্তরমুছুনIt's really helpful Post
উত্তরমুছুনNice
উত্তরমুছুন