বিজ্ঞপ্তি তারিখ ২০/০১/২০২৫ ইং
চলছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষ ভর্তির অনলাইন আবেদন যা চলবে ২১ জানুয়ারী থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।
আবেদন করতে লাগবে–
- এস.এস.সি রোল & রেজিষ্টেশন নাম্বার।
- এইচ.এস.সি রোল & রেজিষ্টেশন নাম্বার।
- সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
- আবেদনের ফি-৭০০ টাকা।
- ভর্তি পরীক্ষা-০৩ মে-২০২৫। সময়: সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
- MCQ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে।
- ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর হবে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩৫ নম্বর। কোন কার্ট নম্বর নেই।
প্রাথমিক আবেদন না করলে এ বছর আর অনার্সে ভর্তির সুযোগ থাকবে না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন যোগ্যতা-
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখাঃ
- এস এস সি-তে ন্যূনতম GPA–২.৫০ (৪র্থ বিষয়সহ)।
- এইচ এস সি-তে নূন্যতম GPA–২.৫০ (৪র্থ বিষয়সহ)।
- উভয় পরীক্ষা মিলে নূন্যতম GPA–৫.৫০ থাকতে হবে।
বিজ্ঞান শাখাঃ
- এস এস সি-তে ন্যূনতম GPA–২.৫০ (৪র্থ বিষয়সহ)।
- এইচ এস সি-তে নূন্যতম GPA–২.৭৫ (৪র্থ বিষয়সহ)।
- উভয় পরীক্ষা মিলে নূন্যতম জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে।
ভর্তি পরিক্ষার মান বন্টন–
মানবিক শাখা–(১০০ নম্বরে পরীক্ষা)- বাংলা=২৫ নম্বর।
- ইংরেজি=২৫ নম্বর।
- বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সাধারণ জ্ঞান=১০ নম্বর।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পঠিত বিষয়ের মধ্যে যে কোনো চারটি বিষয় ৪×১০=৪০ নম্বর। (মোট=৬০+৪০=১০০ নম্বর)
পঠিত বিষয় সমূহ
- ➡ তথ্য ও যোগাযোগ ও প্রযুক্তি(ICT)
- ➡ অর্থনীতি
- ➡ পৌরনীতি ও সুশাসন
- ➡ সমাজবিজ্ঞান
- ➡ সমাজকর্ম
- ➡ ইতিহাস
- ➡ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- ➡ যুক্তিবিদ্যা
- ➡ ইসলাম শিক্ষা
- ➡ ভূগোল ও পরিবেশ
- ➡মনোবিজ্ঞান।
ব্যবসায় শিক্ষা শাখা–(১০০ নম্বরে পরীক্ষা)
- বাংলা=২৫ নম্বর
- ইংরেজি=২৫ নম্বর
- বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সাধারণ জ্ঞান=১০ নম্বর
- ➡হিসাববিজ্ঞান =২০ নম্বর
- ➡ব্যবসায়ী নীতি ও প্রয়োগ =২০ নম্বর
বিজ্ঞান শাখা–(১০০ নম্বরে পরীক্ষা)
- বাংলা=২০ নম্বর
- ইংরেজি=২০ নম্বর
- বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সাধারণ জ্ঞান=১০ নম্বর
- ➡ পদার্থবিজ্ঞান =১৭ নম্বর
- ➡ রসায়ন =১৭ নম্বর
- ➡ গণিত/জীববিজ্ঞান =১৬ নম্বর
এবার শুধু জিপিএ দিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে না, আগে পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে,পাস মার্ক ৩৫।
মেধা তালিকা প্রণয়ন পদ্ধতি–
ক) বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ১০০ নম্বরের MCQ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার পাশ নম্বর হবে ৩৫।
খ) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সর্বমোট ২০০ (দুইশত) নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে বিষয় পছন্দক্রম অনুসারে বিষয়ভিত্তিক মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
গ) একই প্রতিষ্ঠান/কলেজে একই বিষয়ে দুই বা ততোধিক আবেদনকারীর মেধাস্কোর এক হলে সেক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ক্রমানুসারে মেধাক্রম প্রণয়ন করা হবে:
- i) ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যার বেশী হবে;
- ii) এস.এস.সি./সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA- এর ৪০% (৪র্থ বিষয় ব্যতীত) ও এইচ.এস.সি./সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA- এর ৬০% (৪র্থ বিষয় ব্যতীত) এর যোগফল যার বেশী হবে ;
- iii) এস.এস.সি./সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৪০% (৪র্থ বিষয়সহ) ও এইচ.এস.সি./সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৬০% (৪র্থ বিষয়সহ) এর যোগফল যার বেশী হবে;
ঘ) এ ভর্তি কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ১ম মেধা তালিকা, শূন্য আসন সাপেক্ষে ২য় মেধা তালিকা, কোটার মেধা তালিকা এবং ১ম ও ২য় রিলিজ স্লিপের মেধা তালিকার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। উল্লেখ্য যে, এ ভর্তি কার্যক্রমে ৩য় রিলিজ স্লিপে আবেদন করার কোন সুযোগ থাকবে না।
আপনার এসএসসি ও এইচএসসি-তে প্রাপ্ত GPA থেকে নাম্বার হিসাব করুন।
SSC
HSC
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য কিছু পরামর্শ–
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আপনার সফলতা কামনা করি! ভর্তি প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য নিচে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো।–আগে থেকেই প্রস্তুতি নিন: ভালো প্রস্তুতি ব্যতীত ভালো ফলাফল কাম্য নয়। তাই ভালো ফলাফলের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তি ভালোভাবে পড়ুন: ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে সব ধরনের তথ্য থাকবে, যেমন আবেদনের শেষ তারিখ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কোটা ইত্যাদি।
বিষয় নির্বাচন: আপনার পছন্দ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সাথে মিলিয়ে বিষয় নির্বাচন করুন। বিভিন্ন বিষয়ের সম্ভাবনা এবং কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন।
প্রস্তুতি মূল্যায়ন: আপনার শক্তি ও দুর্বলতাগুলো বিশ্লেষণ করুন। কোন বিষয়ে আপনাকে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করতে হবে তা নির্ধারণ করুন।
আবেদন প্রক্রিয়া–
সঠিক তথ্য দিন: আবেদন ফর্ম পূরণের সময় সঠিক তথ্য দিন। কোনো ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে।প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দিন।
আবেদন ফি: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন ফি জমা দিন।
ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি–
সিলেবাস: ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস ভালোভাবে পড়ুন এবং প্রয়োজনীয় বই ও নোট সংগ্রহ করুন।মডেল টেস্ট: বিভিন্ন মডেল টেস্ট দিয়ে নিজেকে মূল্যায়ন করুন।
সময় ব্যবস্থাপনা: পরীক্ষায় সময় কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য অনুশীলন করুন।
স্বাস্থ্য: পরীক্ষার আগে ভালোভাবে ঘুমিয়ে নিন এবং সুষম খাবার খান।
অন্যান্য–
মেধাবৃত্তি: বিভিন্ন মেধাবৃত্তির জন্য আবেদন করুন।কোটা: আপনি যদি কোনো কোটার অধীনে আবেদন করেন, তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দিন।
সহায়তা: কোনো সমস্যা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন।