মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস বিভাগ, ৩য় বর্ষ। আজকের আলোচনা নিউজার্সি পরিকল্পনা, আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে ইংল্যান্ড কেন পরাজিত হয়েছিল, কিচেন ক্যাবিনেট, টাউনসেন্ড এ্যাক্ট। অনার্স ৩য় বর্ষ সাজেশন। বিষয়: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস। বিষয় কোড: ২৩১৫০৭।
প্রশ্নঃ স্টাম্প এ্যাক্ট কি?
উত্তর: ভূমিকা: আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের অদূরদর্শীতা ও ভ্রান্তনীতি বিশেষভাবে দায়ী। তাছাড়া ব্রিটিশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী গ্রেনভিলের ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি এ যুদ্ধের অন্যতম কারণ। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের আরেকটি বড় কারণ ছিল স্ট্যাম্প এ্যাক্ট নামক আইন পাশ করা।
স্ট্যাম্প এ্যাক্ট: স্ট্যাম্প এ্যাক্টকে কেন্দ্র করে আমেরিকায় বিপ্লবের প্রকাশ্য সূচনা ঘটে। দীর্ঘ সাত বছর যাবৎ যুদ্ধে ফ্রান্সকে পরাজিত করতে ইংল্যান্ডের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। এবং রেড ইন্ডিয়ানদের সন্ত্রাস দমনে উপনিবেশগুলোতে সৈন্যবাহিনী গঠনের তাগিদে উত্তর আমেরিকায় ১০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়। আর এই ১০ হাজার সৈন্যের ব্যায় ভারের কিয়দাংশ ও সপ্তমবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধ ঘঠিত জাতীয় ঋণের অর্ধাংশ আদায় করার জন্য ১৭৬৫ সালে প্রধানমন্ত্রী গ্রেনভিল যে আইন করেন তাই স্ট্যাম্প এ্যাক্ট। এই আইনে ধারায় বলা হয় যে সংবাদপত্র আইন ও বাণিজ্য সংক্রান্ত সকল প্রকার দলিলে ও মামলা মোকদ্দামার কাগজ পত্রে স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী গ্রেনভিল ধারণা করেছিলেন এই কর ধার্য করার ফলে সৈন্যদের মোট ব্যায়ের এক-তৃতীয় অংশ এখান থেকে আয় হবে কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, এই এ্যাক্ট পাস করায় উপনিবেশসমূহের জনগণ দারুণভাবে ক্ষুব্ধ হয়। এর ফলে উপনিবেশবাসীর মধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী যে মনোভাব তৈরি হয় তা তাদের ক্রমেই স্বাধীনতা অর্জনের দিকে ধাবিত করে। মূলত স্ট্যাম্প এ্যাক্টকে কেন্দ্র করে আমেরিকায় স্বাধীনতা বিপ্লবের সূচনা হয়।
স্ট্যাম্প এ্যাক্ট: স্ট্যাম্প এ্যাক্টকে কেন্দ্র করে আমেরিকায় বিপ্লবের প্রকাশ্য সূচনা ঘটে। দীর্ঘ সাত বছর যাবৎ যুদ্ধে ফ্রান্সকে পরাজিত করতে ইংল্যান্ডের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। এবং রেড ইন্ডিয়ানদের সন্ত্রাস দমনে উপনিবেশগুলোতে সৈন্যবাহিনী গঠনের তাগিদে উত্তর আমেরিকায় ১০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়। আর এই ১০ হাজার সৈন্যের ব্যায় ভারের কিয়দাংশ ও সপ্তমবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধ ঘঠিত জাতীয় ঋণের অর্ধাংশ আদায় করার জন্য ১৭৬৫ সালে প্রধানমন্ত্রী গ্রেনভিল যে আইন করেন তাই স্ট্যাম্প এ্যাক্ট। এই আইনে ধারায় বলা হয় যে সংবাদপত্র আইন ও বাণিজ্য সংক্রান্ত সকল প্রকার দলিলে ও মামলা মোকদ্দামার কাগজ পত্রে স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী গ্রেনভিল ধারণা করেছিলেন এই কর ধার্য করার ফলে সৈন্যদের মোট ব্যায়ের এক-তৃতীয় অংশ এখান থেকে আয় হবে কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, এই এ্যাক্ট পাস করায় উপনিবেশসমূহের জনগণ দারুণভাবে ক্ষুব্ধ হয়। এর ফলে উপনিবেশবাসীর মধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী যে মনোভাব তৈরি হয় তা তাদের ক্রমেই স্বাধীনতা অর্জনের দিকে ধাবিত করে। মূলত স্ট্যাম্প এ্যাক্টকে কেন্দ্র করে আমেরিকায় স্বাধীনতা বিপ্লবের সূচনা হয়।
প্রশ্ন: আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে ইংল্যান্ড কেন পরাজিত হয়েছিল?
উত্তর: ভূমিকা: বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ এক স্মরণীয় অধ্যায়। আর এ যুদ্ধের দ্বারা আমেরিকা ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে। এ যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে আমেরিকা ভোগ করে স্বাধীনতার সুফল।
আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে ইংল্যান্ডের পরাজয়ের কারণ: নানাবিধী কারণে ইংল্যান্ড আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত হয়। নিম্নে এই কারণসমূহ বর্ণনা করা হলো।
আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে ইংল্যান্ডের পরাজয়ের কারণ: নানাবিধী কারণে ইংল্যান্ড আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত হয়। নিম্নে এই কারণসমূহ বর্ণনা করা হলো।
১। ইংল্যান্ড হতে আমেরিকার দূরত্ব ছিল প্রায় ৩ হাজার মাইল। আর এই দূরত্ব ছিল ইংল্যান্ডের জন্য যুদ্ধে পরাজয় বরণের প্রধান কারণ।
২। ইংরেজদের যুদ্ধ করতে হয় সম্পূর্ণ অপরিচিত ও ঘন জঙ্গলে আবৃত শত্রুভূমিতে। যেটা আমেরিকার জয়ের জন্য একটি বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। যার কারণে ইংল্যান্ডের পরাজয় বরণ করতে হয়।
৩। ইউরোপের রাজনীতিতে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স ছিল পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। ইংল্যান্ডের সাথে আমেরিকার যুদ্ধ বাধলে ফ্রান্স আমেরিকাকে গোপনে সাহায্য করতে থাকে। যার ফলে ইংল্যান্ড এ যুদ্ধে পরাজিত হয়।
৪। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে ইংল্যান্ডের পরাজয়ের অন্যতম একটি কারণ হল ইংল্যান্ডের অর্থের অভাব। সপ্তবর্ষী যুদ্ধে ইংল্যান্ডের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয় যার ফলে এ যুদ্ধে তারা অর্থ অভাবে পড়ে।
৫। ইংল্যান্ডের পরাজয়ের একটি অন্যতম কারণ হলো দক্ষ সৈন্যের অভাব। ইংল্যান্ডের সৈন্যদের মধ্যে কোন ঐক্য ছিলনা যার ফলে তারা এ যুদ্ধে পরাজিত হয়।
উপসংহার: আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে ইংল্যান্ডের পরাজয়ের অনেক কারণ ছিল। যুদ্ধ চলাকালীন নিরপেক্ষ দেশগুলোর সাথে ইংল্যান্ডের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এবং জর্জ ওয়াশিংটনের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে আমেরিকা যুদ্ধে জয় লাভ করে।
২। ইংরেজদের যুদ্ধ করতে হয় সম্পূর্ণ অপরিচিত ও ঘন জঙ্গলে আবৃত শত্রুভূমিতে। যেটা আমেরিকার জয়ের জন্য একটি বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। যার কারণে ইংল্যান্ডের পরাজয় বরণ করতে হয়।
৩। ইউরোপের রাজনীতিতে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স ছিল পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। ইংল্যান্ডের সাথে আমেরিকার যুদ্ধ বাধলে ফ্রান্স আমেরিকাকে গোপনে সাহায্য করতে থাকে। যার ফলে ইংল্যান্ড এ যুদ্ধে পরাজিত হয়।
৪। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে ইংল্যান্ডের পরাজয়ের অন্যতম একটি কারণ হল ইংল্যান্ডের অর্থের অভাব। সপ্তবর্ষী যুদ্ধে ইংল্যান্ডের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয় যার ফলে এ যুদ্ধে তারা অর্থ অভাবে পড়ে।
৫। ইংল্যান্ডের পরাজয়ের একটি অন্যতম কারণ হলো দক্ষ সৈন্যের অভাব। ইংল্যান্ডের সৈন্যদের মধ্যে কোন ঐক্য ছিলনা যার ফলে তারা এ যুদ্ধে পরাজিত হয়।
উপসংহার: আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে ইংল্যান্ডের পরাজয়ের অনেক কারণ ছিল। যুদ্ধ চলাকালীন নিরপেক্ষ দেশগুলোর সাথে ইংল্যান্ডের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এবং জর্জ ওয়াশিংটনের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে আমেরিকা যুদ্ধে জয় লাভ করে।
প্রশ্ন: কিচেন ক্যাবিনেট কী?
উত্তর: ভূমিকা: জ্যাকসন তার কাজে ঘরোয়া মিত্রমহলের উপর নির্ভর করতেন। এবং তার অনুগত কয়েকজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতেন ও তাদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিতেন। আর এই মহলটি কিচেন ক্যাবিনেট নামে পরিচিত।
কিচেন ক্যাবিনেট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের সময়কার একটা অতি প্রভাবশালী বেসরকারি উপদেষ্টা পরিষধ হলো কিচেন ক্যাবিনেট বা রান্নাঘরের তাক। কিচেন ক্যাবিনেট বলতে ক্যাবিনেটের এমন কিছু সদস্যকে বুঝানো হয় যাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বেশি ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতেন এবং যাদের পরামর্শকে তিনি গুরুত্ব দিতেন। প্রধানমন্ত্রী জ্যাকসন তার অনুগত কয়েকজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী নিয়ে এই কিচেন ক্যাবিনেট গড়ে তোলে। এই মহলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন নিউহ্যাম্পশায়রের আইজ্যাক হিল, কেন্টাকির অ্যামোস ফেন্ডাল ও ফ্রান্সিস পি ব্লেয়ারের মতো ডেমোক্রেট দলীয় খবরের কাগজের সম্পাদকগণ, ব্যুরেন ছিলেন সরকারি ও ঘরোয়া উভয় চক্রের সদস্য।
উপসংহার: কিচেন ক্যাবিনেট হল একটি বেসরকারি উপদেষ্টা পরিষদ। এই পরিষদের কাজ ছিল প্রধানমন্ত্রী জ্যাকসনের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা। জ্যাকসন কয়েকজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী নিয়ে এই মহলটি গড়ে তোলেন। এবং তাদের পরামর্শকে জ্যাকসন অনেক গুরুত্বের সাথে দেখতেন।
কিচেন ক্যাবিনেট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের সময়কার একটা অতি প্রভাবশালী বেসরকারি উপদেষ্টা পরিষধ হলো কিচেন ক্যাবিনেট বা রান্নাঘরের তাক। কিচেন ক্যাবিনেট বলতে ক্যাবিনেটের এমন কিছু সদস্যকে বুঝানো হয় যাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বেশি ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতেন এবং যাদের পরামর্শকে তিনি গুরুত্ব দিতেন। প্রধানমন্ত্রী জ্যাকসন তার অনুগত কয়েকজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী নিয়ে এই কিচেন ক্যাবিনেট গড়ে তোলে। এই মহলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন নিউহ্যাম্পশায়রের আইজ্যাক হিল, কেন্টাকির অ্যামোস ফেন্ডাল ও ফ্রান্সিস পি ব্লেয়ারের মতো ডেমোক্রেট দলীয় খবরের কাগজের সম্পাদকগণ, ব্যুরেন ছিলেন সরকারি ও ঘরোয়া উভয় চক্রের সদস্য।
উপসংহার: কিচেন ক্যাবিনেট হল একটি বেসরকারি উপদেষ্টা পরিষদ। এই পরিষদের কাজ ছিল প্রধানমন্ত্রী জ্যাকসনের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা। জ্যাকসন কয়েকজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী নিয়ে এই মহলটি গড়ে তোলেন। এবং তাদের পরামর্শকে জ্যাকসন অনেক গুরুত্বের সাথে দেখতেন।
প্রশ্ন: টাউনসেন্ড এ্যাক্ট সম্পর্কে একটি টীকা লিখ?
উত্তর: ভূমিকা: ব্রিটিশদের সাথে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ ইউরোপের ইতিহাসে তথা সারাবিশ্বের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আর এ স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে টাউনসেন্ড এ্যাক্ট বা কর নীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
টাউনসেন্ড এ্যাক্ট: বাকিংহাম মন্ত্রিসভার পতনের পর মন্ত্রিসভা গঠন করে ইংল্যান্ডের সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রধান রাজনীতিবিদ আর্ল অফ চ্যাথাম। এই মন্ত্রিসভা ১৭৬৭ সালে ইংল্যান্ডের জমির খাজনার পরিমাণ হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি দেন। এরই পরিপেক্ষিতে রাজস্ব সচিব চার্লস টাউনসেন্ড আমেরিকায় আমদানিকৃত কয়েকটি দ্রব্যের উপর শুল্ক ধার্য কোরে যে আইন তৈরি করে তাই টাউনসেন্ড এ্যাক্ট। এই আইনের মাধ্যমে কাচ, কাগজ, চা এবং সিসার উপর আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়। ফলে জনগণের মাঝে পুনরায় অসন্তোষ দেখা দেয়। এবং ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট শুরু করে সেই সাথে ব্রিটিশদের পূণ্য ব্যবহার বর্জন করে। এর ফলে সরকার ও জনগণের মধ্যে সংঘর্ষে শুরু হয় যা বোস্টন হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায়।
উপসংহার: আমেরিকায় ঔপনিবেশিক শাসনামল একটি যুগান্তকারী ঘটনা। ঔপনিবেশিক শাসক ব্রিটেন নিজেদের খরচের বোঝা আমেরিকানদের উপর চাপিয়ে নানা ধরনের কর ধার্য করে। তেমনই একটি কর হল টাউনসেন্ড এ্যাক্ট। এই এ্যাক্টের ফলে সরকার ও জনগণের মধ্যে সংঘর্ষের সূচনা হয় যা আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করে।